জেনে নিন গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে বিশদ ভাবে এবং আয় করুন ১০০% সঠিক এবং পরিকল্পিতো ভাবে।

No comments
শুভেচ্ছা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল। আমি ও ভাল আছি।  যারা মূলত ব্লগিং করেন তারা অ্যাডসেন্স সম্পর্কে জানেন। তবে যারা এই বিষয়টি জানেন না তাদের জন্য এই লেখা। অ্যাডসেন্স হলো  সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন। এটি মূলত একটি লাভ-অংশিদারী প্রকল্প যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। একটি ওয়েবসাইটের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করতে পারেন এবং তা থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমান অনলাইন বিশ্বে এই বিষয়টি ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে যে পরিমান আয় আসে তার প্রায় ১২ শতাংশ আসে অ্যাডসেন্স থেকে। এক্ষেত্রে মূলত বিভিন্ন ব্লগ সাইটে গুগলের অ্যাডসেন্স বসিয়ে এ পরিমান আয় করেন বাংলাদেশি অ্যাডসেন্স পাবলিশাররা। ২০০৩ সালের ১৮ জুন সর্বপ্রথম গুগল অ্যাডসেন্স প্রকাশ করে।

২০১০ সালের Q1তে, গুগল $২.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল ($৮.১৬ বিলিয়ন বার্ষিক), অথবা অ্যাডসেন্সের মধ্য দিয়ে মোট রাজস্ব ৩০% আয় করেছিল।অ্যাডসেন্স গুগলের বিজ্ঞাপন প্রচার প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গুগল তৃতীয় পরে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ওয়েবমাস্টার এবং ব্লগের মালিকদের নিকট বন্টন করে। ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে ওয়েবমাস্টাররা অর্থ উপার্জন করতে পারে। বিজ্ঞাপণদাতাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ওয়েবমাস্টরদের মাধ্যমে বিতরণ করে গুগল। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে যেকেউ অর্থ আয় করতে পারে। প্রচুর বাংলাদেশী ব্লগার এবং ওয়েবসাইটের মালিক গুগল অ্যডসেন্সের বিজ্ঞাপণ প্রদর্শণের মাধ্যমে বর্তমানে অর্থ আয় করছেন।

গুগল এডসেস্ন থেকে আয় করতে হলে যা আপনাকে করতে হবেঃ 

১. এমনই বিষয় নিয়ে ওয়েবসাইট করবেন, যে বিষয়ে আপনার আগ্রহ এবং খুব ভালো জানাশোনা রয়েছে।
২. রেভিনিউ বাড়াতে একাধিক ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করুন, প্রতি সাইটে একটি নিশ নিয়ে লিখুন।
৩. গুগল চায় ভালো মানের ইউনিক কনটেন্ট, যা সার্চে ভালো পজিশনে থাকবে। তাই এই বিষয়টিতে নজর দিন।
৪. গুগল সাপোর্ট করে না এমন সব ভাষায় লেখা সাইটে অ্যাড বসানো থেকে বিরত থাকুন। (যেমন বাংলা ভাষার সাইটে অ্যাড বসাবেন না)
৫. হাই পেয়িং কিওয়ার্ড টার্গেট না করে, ব্লগে কোয়ালিটি কনটেন্ট এর উপর জোর দিন।কিওয়ার্ড টার্গেট করে কনটেন্ট ডেভেলপ করে নিয়মিত আপনার সাইটকে আপডেট করার চেষ্টা করুন।
৬. অ্যাডের কোড পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না। যদি পরিবর্তন করতেই হয়, তাহলে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকেই পরিবর্তন করুন।
৭. ছবির সাথেই গুগলের অ্যাড কখনই বসাবেন না। এতে ভিসিটর বিভ্রান্তিতে পড়ে আর এটা গুগল কখনো সাপোর্ট করে না, যা অ্যাডসেন্স ব্যান হওয়ার কারণ হতে পারে।
৮. সাইটের সঙ্গে মানানসইভাবে অ্যাড বসান। ভিসিটরকে বিভিন্ন লেখার (Click here,Click this) মাধ্যমে অ্যাড এ ক্লিক করতে অনুপ্রাণিত করবেন না।
৯. নিয়মিত আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ভালভাবে চেক করবেন। হঠাৎ করে কেন আপনার ব্লগে ক্লিক বেড়ে গেল তা চেক করবেন। অসঙ্গতি লক্ষ্য করলে সাথে সাথে সেটি অ্যাডসেন্সকে কে জানান। আর তখন আপনার অ্যাকাউন্টটি নিরাপদ থাকবে।
১০. অ্যাডসেন্স সচল থাকা স্বত্ত্বেও আরেকটি অ্যাকাউন্ট খোলার চেষ্টা করবেন না। কারণ এটি আপনার বর্তমান অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়ার কারন হতে পারে। কেননা গুগল কখনো মাল্টি অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের অনুমতি দেয় না।

No comments :

Post a Comment